অনলাইন ডেস্ক :: ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল বিভাগের প্রতিটি থানায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এসব থানায় লাইট মেশিনগান (এলএমজি) ও চায়নিজ রাইফেলের সমন্বয়ে বসানো হয়েছে নিরাপত্তা চৌকি। মতিঝিল বিভাগের পাশাপাশি ওয়ারী বিভাগের থানাগুলোতেও একই ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সকালে মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মতিঝিল বিভাগের মতিঝিল, সবুজবাগ, খিলগাঁও, পল্টন মডেল, রামপুরা, মুগদা ও শাজাহানপুর থানায় বালুর বস্তা দিয়ে নিরাপত্তা চৌকি তৈরি করা হয়েছে। এসব চৌকিতে এলএমজি ও চাইনিজ রাইফেল নিয়ে পুলিশ সদস্যরা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন।
নুরুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি ও থানার বাড়তি নিরাপত্তার জন্য এসব চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এছাড়া মতিঝিল বিভাগের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।’
এদিকে, ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের থানাগুলোতেও একই ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) শাহ ইফতেখার আহমেদ।
তিনি বলেন, থানার নিরাপত্তায় নতুন নিরাপত্তা চৌকি বসানো হয়েছে। এসব নিরাপত্তা চৌকিতে এলএমজি, চায়নিজ রাইফেলসহ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
শাহ ইফতেখার আহমেদ বলেন, ওয়ারী বিভাগের ওয়ারী থানা, ডেমরা থানা, শ্যামপুর থানা, যাত্রাবাড়ী থানা, গেন্ডারিয়া থানা ও কদমতলি থানায় এ ধরনের নিরাপত্তা চৌকি বসানো হয়েছে।
তবে, রমনা বিভাগের থানাগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হলেও ভারী অস্ত্র বসানো হয়নি বলে জানিয়েছেন রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) আর এম ফয়জুর রহমান।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। তবে এলএমজি অনেক ভারি অস্ত্র, রমনা বিভাগের থানাওগুলোতে এলএমজি রাখা হয়নি।’
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম রাজধানীর সব থানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ, থানা, রেল স্টেশনসহ সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা ও ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এসে বেশ কয়েকজন নিহত ও অসংখ্য আহত হয়। -সময়নিউজ
পাঠকের মতামত: